প্রধান শিক্ষকের বাণী
গুণগত শিক্ষা
ও শিক্ষার অনুকূল
পরিবেশ
শিক্ষার্থীকে করবে
সমৃদ্ধ, এগিয়ে যাবে
বাংলাদেশ।
স্নেহের শিক্ষার্থী, সম্মানিত অভিভাবক ও প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ, সকলকে কাঠালবাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানাই
আন্তরিক শুভেচ্ছা, ভালোবাসা ও
অভিনন্দন।
কাঠালবাড়ী উচ্চ
বিদ্যালয়, মাদারীপুর জ়েলার শিবচর উপজ়েলার একটি ঐতিহ্যবাহী বিদ্যাপীঠ।
ঐতিহ্যবাহী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসাবে
১৯৬১ সাল থেকে
শিক্ষা বিস্তারে অগ্রণী
ভূমিকার স্বাক্ষর রেখে চলেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় বিগত ২০২৩ ইং সালের এস এস সি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাসসহ
সমগ্র উপজেলায় প্রথম স্থান, ২০২৪ ইং সালে জিপিএ-৫ ও শতভাগ পাসসহ উপজেলায় ২য় স্থান
ও ২০২৫ ইং সালে ৯টি জিপিএ-৫ সহ ফলাফলে একটি অভুতপূর্ব দৃস্টান্ত স্থাপন করে আসছে । প্রতিষ্ঠানটি শিক্ষার্থীদের শুধু
পুঁথিগত বিদ্যা
ও কাগজি সার্টিফিকেটের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে না। পড়ালেখার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলাম এক্টিভিটিস এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের সামাজিক ও
নৈতিক মূল্যবোধের জাগরণ
ঘটানোর চেষ্টা করে
চলেছে। যার ফলস্বরূপ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্ররা আজ
দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, দেশ
পরিচালনার রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, কবি,
সাহিত্যিক, আইনজিবি, লেখক, দেশ ও
দেশের বাহিরে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও
সংগঠনের অন্যতম
ব্যক্তি হিসেবে
তাদের দ্বায়িত্ব পালন
করে চলেছেন। বিদ্যালয়ের প্রতি প্রাক্তন ছাত্রদের রয়েছে অদম্য ভালোবাসা। করোনাকালীন সময়ে তারা দুঃখী, অসহায়, অসুস্থ
মানুষের পাশে
থেকেছে। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন দিবস
উদ্যাপনে
শিক্ষকদের পাশাপাশি থেকে কাজ করে
চলেছে।
স্নেহের শিক্ষার্থীবৃন্দ,
আন্তরিক প্রচেষ্টা এবং নিয়মিত অধ্যাবসায় একজন দুর্বল শিক্ষার্থীকেও সবল করে
তোলে। বর্তমানের এই
আধুনিক ও প্রতিযোগিতামূলক যুগে অলস
ভাবে সময় অতিবাহিত করার কোনো সুযোগ
নেই। পরিবর্তিত কারিকুলাম ও সিলেবাসের ভিত্তিতে সঠিক পদ্ধতিতে পাঠ
গ্রহণের ও
অনুশীলনের জন্য
বিদ্যালয়ের কোন
বিকল্প নেই। বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ একদিকে
যেমন সুশিক্ষিত অপরদিকে পরিবর্তিত কারিকুলাম ও নতুন শিখন
পদ্ধতির উপর
প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। কাজেই কোনো বিকল্প
না ভেবে নিয়মিত
বিদ্যালয়ে এসে
প্রশিক্ষিত শিক্ষকদের সান্নিধ্যে পাঠ
গ্রহণ করে নিজেদেরকে ভবিষ্যতের জন্য
যথার্থরূপে তৈরি
করা সম্ভব। এ
পর্যন্ত বিদ্যালয়ের যত শিক্ষার্থী উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে
তারা প্রত্যেকেই নিয়মিত
ছাত্র ছিল। মনে
রাখবে শিক্ষা কোন
করুণা নয়, শিক্ষা
তোমাদের অধিকার। কাজেই পাঠের কোন
বিষয়ে দুর্বোধ্য মনে
হলে শিক্ষকগণকে প্রশ্ন
করে জেনে নেবে।
এ ব্যাপারে আমার
শিক্ষকগণ খুবই
আন্তরিক।
সম্মানিত অভিভাবকগণ,
আপনাদের জীবনের
শ্রেষ্ঠ সম্পদটিকে সুন্দর ও কাঙ্ক্ষিত রূপে রুপায়ন করার
মানসে আমাদের কাছে
অর্পণ করে থাকেন।
আর আমরা শিক্ষকগণ আমাদের মেধা, মনন
ও আন্তরিকতার সাথে
আপনার সম্পদটিকে কাঙ্খিত রূপে রূঁপায়নের চেষ্টা
করি। আপনার সন্তান
হয়তো বা একজন
বা দুজন। আর
আমাদের কাজ করতে
হয় বিভিন্ন পরিবার
ও বিভিন্ন পরিবেশ
হতে আগত বৈচিত্র্যময় শিক্ষার্থীদের নিয়ে।
এক্ষেত্রে আপনাদের আন্তরিক সহযোগিতা ভিন্ন এই কর্মযজ্ঞে সফলতা আনায়ন করা
খুবই কষ্টসাধ্য। একজন
শিক্ষার্থী বিদ্যালয় চলাকালীন সময়
রাত-দিন ২৪ ঘন্টার মধ্যে ৭
থেকে
৮ ঘন্টা বিদ্যালয়ে অবস্থান করে
এবং বাকি সময়
আপনাদের সাহচর্যে থাকে। আপনারা
জেনে খুশি হবেন যে, অত্র বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আধুনিক শিক্ষার জন্য ডিজিটাল কম্পিউটার ল্যাব, যুগোপযোগী
বিজ্ঞানাগার, মানসম্মত কমন রুম, সার্বক্ষণিক সিসি টিভি ক্যামেরা দ্বারা পর্যবেক্ষণ,
ছেলে-মেয়েদের পৃথক পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, চিত্তবিনোদনের জন্য দোলনা, স্লিপার,
খেলাধুলার জন্য পর্যাপ্ত সরঞ্জামাদি ও বিদ্যালয়ের
চারপাশ দেয়াল দ্বারা বেষ্টিত। কাজেই তাদের
শারীরিক ও
মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে
খেয়াল রেখে, বিদ্যালয়ের পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা, বিদ্যালয়ের নিয়ম-কানুন
এর প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার মানসিকতা সম্পন্ন করে নিয়মিত বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে আমাদের সহযোগিতা করবেন। এছাড়া আপনার
সন্তান নিয়মিত স্কুল
প্রদত্ত বাড়ির
কাজ করে কি-না,
সবার সাথে সৌজন্যমূলক আচরণ করে কি-না
খেয়াল রাখবেন। বিদ্যালয়ের সাথে যোগাযোগ রক্ষা
করে চলবেন।
প্রিয় সহকর্মী শিক্ষকবৃন্দ,
সর্বপ্রথম বিগত
বছরগুলোর বিদ্যালয়ের সকল সফলতার জন্য
আপনাদের অবদান
কৃতজ্ঞতা চিত্তে স্মরণ
করি। আপনারা প্রতিবছর আপনাদের মেধা,মনন,দক্ষতা,অভিজ্ঞতা ও আন্তরিকতার সহিত
কোমলমতি শিক্ষার্থীদের গঠন করে
থাকেন। প্রতিবছর শিক্ষাক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন পরিবর্ধন আসে।
এ সকল পরিবর্তন পরিবর্ধন আপনারা সাদরে গ্রহণ
করে শিক্ষার্থীদের যথাযথ
শিক্ষাদানে নিবেদিত থাকেন। আশা করি
আগামী দিনগুলো নিষ্ঠা
ও আন্তরিকতার সাথে
সফল ভাবে অতিবাহিত করবেন।
পরিশেষে, নতুন
বছর ও নতুন
শিক্ষাবর্ষ আপনাদের সকলের জীবনকে সমৃদ্ধময় করে তুলুক এই
শুভকামনা রইল
সবার প্রতি।